গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার জানুন

গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার

গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার জানুন

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সারদের সবচাইতে পছন্দের একটি সেক্টরের নাম গ্রাফিক্স ডিজাইন। অনেকেই এই সেক্টরে ইতিমধ্যে কাজ করছেন এবং নতুন করে অনেকেই কাজ শুরু করার কথা ভাবছেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে যে সমস্ত কাজগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সিং জগতে পা রাখতে চান গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করছি গ্রাফিক্স ডিজাইন মোট কত প্রকারের হয়ে থাকে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ভিজ্যুয়াল আইডেন্টিটি ডিজাইন (Visual Identity Design)

গ্রাফিক্স ডিজাইনের অন্যতম একটি কাজ হল ভিজুয়াল আইডেন্টিটি ডিজাইন। এর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির যে সমস্ত বিজ্ঞাপন গুলো হয়ে থাকে সেগুলোর কাজ করা হয়। সাধারণত বড় বড়  কোম্পানিগুলো তাদের ব্র‍্যান্ডিংয়ের জন্য যে সমস্ত কাজ করে থাকে যেমন লোগো ডিজাইন সহ অন্যান্য এ সমস্ত কাজগুলো ভিজুয়াল আইডেন্টিটি ডিজাইনের মাধ্যমে করা হয়। 

মার্কেটিং ডিজাইন (Marketing Design)

বিভিন্ন কোম্পানির যে সমস্ত প্রোডাক্ট রয়েছে সেগুলোর বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য অনেক সময় বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি ডিজাইন করতে হয় সেগুলো মার্কেটিং ডিজাইনের আন্ডারে পড়ে। বর্তমানে এমন অনেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার রয়েছেন যারা এই সেক্টরে কাজ করছেন এবং বেশ ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করছেন। যেহেতু বর্তমানে কোম্পানিগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপরে বেশি নজর দিচ্ছে তাই মার্কেটিং ডিজাইন শিখে আপনি চাইলে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।

ইউজার ইন্টারফেস (UI) ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর আরেকটি জনপ্রিয় ক্ষেত্র হল ইউ আই ডিজাইন। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপসের ইন্টারফেস ডিজাইন করা হয়। আমরা বর্তমানে যে সমস্ত ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি সেগুলোর যে ইউজার ইন্টারফেস থাকে সেগুলো গ্রাফিক্স ডিজাইনের এই সেক্টরের আন্ডারে পড়ে। যেহেতু বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে ওয়েবসাইট বিল্ড করা হয় এবং অ্যাপ ডেভলপ করা হয় তাই আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের এই সেক্টরটি বেছে নিতে পারেন।

প্রকাশনা ডিজাইন (Publication Design)

বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং বইয়ের যে সমস্ত পাবলিকেশন রয়েছে তাদের গ্রাফিক্স ডিজাইনের এই সেক্টরের কাজে অভিজ্ঞ এমন ব্যক্তির প্রয়োজন হয়। সাধারণত বইয়ের কভার পেজ এবং অন্যান্য যে ছবিগুলা বইতে ব্যবহার করা হয় সেগুলো পাবলিকেশন ডিজাইনের মাধ্যমে করা হয়।

প্যাকেজিং ডিজাইন (Packaging Design)

আমরা বাজারে যে সমস্ত প্যাকেজিং করা পণ্য দেখতে পাই সেগুলোর গায়ে অনেক সময় বিভিন্ন গ্রাফিক্স বা ছবি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। প্যাকেজিং ডিজাইনের মাধ্যমে সাধারণত এই কাজগুলো করা হয়। আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের এই কাজটি শিখতে পারেন কারণ এই কাজটির চাহিদাও কিন্তু বেশ ভালো পরিমাণে রয়েছে।

মোশন গ্রাফিক্স (Motion Graphics)

আপনি যদি গ্রাফিক্সের সবচাইতে জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কাজের কথা বলেন তাহলে সেটি এক বাক্যে মোশন গ্রাফিক্স হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। বিভিন্ন প্রকার এনিমেশন যেমন ২ ডি ৩ ডি ইত্যাদি এনিমেশন গুলো সাধারণত মোশন গ্রাফিক্স ব্যবহার করে করা হয়। আমরা বর্তমানে যে সমস্ত ভিডিও কন্টেন্ট গুলা দেখে থাকি সেগুলো সাধারণত মোশন গ্রাফিক্সের মাধ্যমে করা হয়। নাটক সিনেমা থেকে শুরু করে বিভিন্ন টিভি শো গুলাও মোশন গ্রাফিক্স ব্যবহার করে করা হয়। 

ইনফোগ্রাফিক্স ডিজাইন (Infographics Design)

বিভিন্ন ইনফরমেশন যখন ভিডিও আকারে কাউকে দেখানোর প্রয়োজন পড়ে তখন সেটি ইনফোগ্রাফিক্স ডিজাইনের আন্ডারে পড়ে। বিভিন্ন প্রকার চার্ট, ডায়াগ্রাম ইত্যাদি যে সমস্ত জটিল বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো সাধারণত ইনফোগ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে করা হয়।

ল্যান্ডিং পেজ এবং ওয়েব ডিজাইন

বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের যে সকল ল্যান্ডিং পেজ থাকে সেগুলো সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে করা হয়। আমরা বর্তমানে যে সমস্ত ওয়েবসাইট গুলো দেখতে পাই সেগুলোর হোমপেজ বা ল্যান্ডিং পেজ গুলো সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা ডিজাইন করে থাকে।

প্রডাক্ট ডিজাইন (Product Design)

আধুনিকতার ছোঁয়া কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানির উপরেও লেগেছে তাইতো তারা এখন বিভিন্ন আকর্ষণীয় পণ্যের ডিজাইন গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের মাধ্যমে করে থাকে। আপনি যদি একজন প্রোডাক্ট ডিজাইনার হতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রোডাক্ট ডিজাইন সেক্টরে কাজ করতে হবে।

ফ্যাশন ডিজাইন

বর্তমানে ফ্যাশন ডিজাইনারের ডিমান্ড কিন্তু আগের চেয়ে যেমন বেড়েছে তেমনি ভবিষ্যতেও এর চেয়ে আরও বেশি বাড়বে। বর্তমানে পোশাকের ডিজাইন গুলা সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা করে থাকেন।

শেষ কথা

আপনারা যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান তাহলে অবশ্যই এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি সেক্টরে কাজ করার পরামর্শ থাকবে। কারন যেকোনো স্কিল শিখে যদি কাজ না পান তবে কাজের কাজ কিছুই হবে না তাই স্কিল শেখার আগে সেটার মার্কেট ডিমান্ড কেমন সেটা জেনে নেয়া জরুরি। আপনি যদি জনপ্রিয় কোনো একটা সেক্টরে কাজ করেন তাহলে যেমন সহজে কাজ খুঁজে পাবেন ঠিক তেমনি ইনকাম করাও সহজ হয়ে যাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url