স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া গিয়ে কি কাজ করা যায়?
স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া গিয়ে কি কাজ করা যায়?
আসসালামুয়ালাইকুম, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন প্রকার ভিসা নিয়ে অনেকে ইউরোপ, আমেরিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজের উদ্দেশ্যে যেয়ে থাকেন। যারা প্রবাসে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন বা অলরেডি গিয়েছেন তাদের মনের মধ্যে বিভিন্ন দেশ নিয়ে মনে মনে অনেক ছোট-ছোট প্রশ্ন উঁকি দিয়ে থাকে। আপনাদের এসব ছোট ছোট এবং গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য নিয়ে আবারো একটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো স্টুডেন্ট বা স্টাডি ভিসায় অস্ট্রেলিয়া গিয়ে কাজ করা যায় কি না সে সম্পর্কে।
স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া গিয়ে কাজ করার উপায়
আপনারা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সহজে অস্ট্রেলিয়ার আসতে পারবেন। স্টুডেন্ট ভিসায় আসলেও আপনারা এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম বা চাইলে ফুল টাইম কাজও করতে পারবেন। কিন্তু স্টুডেন্ট ভিসায় কাজ করতে হলে একটা শর্ত আছে সেটি হচ্ছে, আপনাকে পড়াশোনা শেষ করার পর টেম্পরারি গ্রাজুয়েট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ ধরুন আপনি একটি কোর্স বা অনার্স করার জন্য অস্ট্রেলিয়া গিয়েছেন যখন আপনার কোর্স বা ডিগ্রি কমপ্লিট হয়ে যাবে তখন আপনাকে এই টেম্পরারি গ্রাজুয়েট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
তবে নিয়ম অনুযায়ী আপনার গ্রাজুয়েশন শেষ হওয়ার পর যদি আপনি সেখানে আর থাকতে না চান বা কাজ করতে না চান সেক্ষেত্রে আর টেম্পোরারি গ্রাজুয়েশন ভিসার আবেদনের প্রয়োজন নেই। যারা গ্রাজুয়েশন শেষ করার পরও আরো কিছুদিন অস্ট্রেলিয়া তে থেকে পার্ট টাইম বা ফুল টাইম কাজ করতে চান তবে আপনাকে টেম্পোরারি গ্রাজুয়েট ভিসার জন্য আবেদন করতেই হবে।
আবেদনের পর আপনি আবার অস্ট্রেলিয়া তে দেড় বছর থাকা এবং কাজ করার অনুমতি পাবেন, অর্থাৎ টেম্পোরারি গ্রাজুয়েট ভিসা দেড় বছরের জন্য হয়ে থাকে। আপনার পড়াশোনা শেষ হবার পরেও এই ভিসার মাধ্যমে আপনি অস্ট্রেলিয়া তে কাজ করতে পারবেন।
আগে টেম্পোরারি গ্রাজুয়েশন ভিসা তিন বছরের জন্য দেয়া হতো কিন্তু বর্তমানে খানে একটি আপডেট আসছে সেটি হলো আগে এই ভিসা তিন বছরের জন্য দেয়া হতো আর এখন দেড় বছরের জন্য দেয়া হয়।
পড়াশোনার জন্য অস্ট্রেলিয়া তে যাওয়ার খরচ যেহেতু অনেক তাই আপনি যদি টেম্পোরারি গ্রেজুয়েশন ভিসার জন্য আবেদন করে দেড় বছর সেখানে ফুল টাইম জব করেন তাহলে এদিকে যেমন আপনার পড়াশোনার খরচ টা অনেকটা উঠে আসবে, অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়াতে দুই বছর কাজের অভিজ্ঞতা যদি আপনার থাকে তাহলে বাংলাদেশের যে কোন কোম্পানিতে অনায়াসে অনেক বড় পোস্টে চাকরি পাবেন।
অনেকে টুরিস্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া গিয়ে কাজ করার কথা চিন্তা করে থাকে যেটি অনেক আইনি ঝামেলার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ও বটে। সেই দিকটা বিবেচনায় স্টুডেন্ট রা একদমই সহজ উপায়ে তেমন বড় কোনো আইনি ঝামেলা বা ঝুঁকি ছাড়াই সেখানে কাজের অনুমতি পাচ্ছে এটি অবশ্যই বেশি গ্রহনযোগ্য।
স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া গিয়ে স্থায়ী হওয়া যায়?
আপনারা যদি ডক্টরেট, পিএইচডি অথবা পোস্ট গ্রাজুয়েশন এর জন্য অস্ট্রেলিয়াতে যান এবং যখন ডিগ্রীগুলো কমপ্লিট হয়ে যায় তখন টেম্পোরারি গ্র্যাজুয়েট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ভিসার মাধ্যমে আপনি অতিরিক্ত আরও তিন বছর অস্ট্রেলিয়াতে থাকার সুযোগ পাবেন এবং চাইলে কাজও করতে পারবেন।
শেষ কথা
সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসায় যারা যায় তারা পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব গুলো করে থাকে। কারণ পড়াশোনা সহ অন্যান্য একাডেমিক চাপের কারণে ফুল টাইম জব করা সম্ভব হয়না বা অনেক ক্ষেত্রে কাজের পারমিশন থাকে না। তাই পড়াশোনা শেষ করার পর যেহেতু আরো দেড় বছর অতিরিক্ত সেখানে থাকার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে এবং চাইলে ফুলটাইম জবও করা যাচ্ছে তাই এই সুযোগটা চাইলে আপনি নিতেই পারেন।
আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url