বর্তমানে ভালো হোস্টিং কোম্পানি কোনগুলো?
বর্তমানে ভালো হোস্টিং কোম্পানি কোনগুলো?
বর্তমানে অনেক হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি রয়েছে যারা সবাই মোটামুটি ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে, এর নাম বলতে গেলে প্রায় একশ ছাড়িয়ে যাবে। তাই এতগুলা কোম্পানির মধ্যে থেকে সবগুলোর সার্ভিস আমাদের নেয়া হয় না তাই আমার ব্যবহার করা কিছু জনপ্রিয় এবং সেরা হোস্টিং প্রোভাইডার নিয়ে আজকে আলোচনা করব। এর মধ্যে কিছু বাংলাদেশী এবং কিছু ইন্টারন্যাশনাল হোস্টিং কোম্পানিও রয়েছে। আপনার জন্য কোন কোম্পানিগুলো ভালো হবে সে সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।বাংলাদেশি নাকি ইন্টারন্যাশনাল হোস্টিং কোম্পানি ভালো?
আপনি চাইলে বাংলাদেশী বা ইন্টারন্যাশনাল দুই ধরনের হোস্টিং কোম্পানি থেকে হোস্টিং সার্ভিস নিতে পারেন তবে আপনার জন্য কোনটি ভাল হবে সেটি নির্ধারণ করতে হয় কিছু বিষয় বিবেচনা করে। যেমন ধরুন আপনি বাংলাদেশকে টার্গেট করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন অর্থাৎ আপনার ভিজিটর গুলো সব বাংলাদেশ থেকে আসবে সেক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশী হোস্টিং কোম্পানি চুজ করতে পারেন। কেননা হোস্টিং এর একটি নির্দিষ্ট সার্ভার থাকে এটি আপনার টার্গেটেড লোকেশনের যত কাছে হবে বিষয়টি আপনার জন্য ততই ভালো হবে এক্ষেত্রে আপনি ব্যান্ডউইথ ভালো পাবেন যার কারণে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স অনেক ভালো হবে। আর যদি আপনার ওয়েবসাইট ইউএসএ বা অন্যান্য বাইরের কান্ট্রি গুলো টার্গেট করে বানানো হয় তাহলে আপনার টার্গেটেড লোকেশন এর আশপাশে যেসব কোম্পানির সার্ভার রয়েছে সেসব কোম্পানি থেকে হোস্টিং সার্ভিস নিতে পারেন।এক্ষেত্রে আরেকটি বিড়ম্বনার বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি ইন্টারন্যাশনাল কোন হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানির থেকে সার্ভিস নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে যেমন ভিসা বা মাস্টার কার্ড থাকতে হবে যেটি আমাদের অনেকের কাছে এভেলেবল থাকে না।অন্যদিকে আপনি যদি কোনো বাংলাদেশী হোস্টিং প্রোভাইডার থেকে হোস্টিং সার্ভিস নেন সেক্ষেত্রে পেমেন্টের কোন ঝামেলায় পড়তে হবে না, বাংলাদেশের যে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমেই সহজে আপনি হোস্টিং সার্ভিস নিতে পারবেন।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে আরেকটি ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে আপনি যখন ইন্টারন্যাশনাল কোন হোস্টিং কোম্পানি থেকে সার্ভিস নিবেন সেক্ষেত্রে আপনার যদি হোস্টিং সেটআপে কোন রকমের সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে তাদের সাথে ইংলিশে যোগাযোগ করতে হবে যেটি অনেকের ক্ষেত্রে একটু কঠিন। আপনি আসলে কি সমস্যা ফেস করছেন সেটা যদি তাদেরকে ভালোভাবে বোঝাতে না পারেন তাহলে আপনার হোস্টিং রিলেটেড সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব হবে না যেটি অনেক বড় একটি বিলম্বনার কারণ হতে পারে। এছাড়াও ম্যাক্সিমাম ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিগুলো সরাসরি ফোন কলে কথা বলা এলাও করে না তাদের সাথে মেসেজে যোগাযোগ করতে হয় যেটিও সমস্যার কারণ বলে আমি মনে করি।
অন্যদিকে আপনি যদি বাংলাদেশী কোন কোম্পানি থেকে হোস্টিং নেন তাহলে হোস্টিং সেটআপ থেকে শুরু করে অন্যান্য যত সাপোর্ট প্রয়োজন আপনি খুব সহজেই বাংলা ভাষায় তাদের সাথে যোগাযোগ এবং প্রয়োজনে ফোন কলের মাধ্যমেও প্রয়োজনীয় সাপোর্ট নিতে পারবেন।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আশা করি বুঝতে পেরেছেন কোন হোস্টিং কোম্পানি আপনার জন্য ভালো হবে।
বাংলাদেশি এবং ইন্টারন্যাশনাল হোস্টিং কোম্পানির নাম
নিচে আমি দুটি বাংলাদেশী হোস্টিং কোম্পানির নাম উল্লেখ করছি যেগুলো আমি পার্সোনালি ইউজ করেছি এবং মোটামুটি ভাল সার্ভিস পেয়েছি। দুটি কোম্পানি সাজেস্ট করার কারণ হলো আমি পার্সোনালি তাদের সার্ভিস নিয়েছি এবং আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে। এছাড়াও আরো অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলো আরো বেশি ভালো সার্ভিস দিতে পারে তবে আমি যেহেতু এই দুটি কোম্পানি ইউজ করেছি তাই আমার অভিজ্ঞতার আলোকে এই দুটিকে সাজেস্ট করছি।ওয়েবসাইট দুটির লিংক আমি নিচে দিয়ে দিলাম আপনারা চাইলে তাদের সার্ভিসগুলো দেখার পর ভালো লাগলে সেখান থেকে ডোমেইন বা হোস্টিং কিনতে পারেন।
www.webhostbd.com
www.exonhost.com
ইন্টারন্যাশনাল কিছু হোস্টিং কোম্পানির নাম
www.hostinger.comwww.namecheap.com
www.bluehost.com
www.siteground.com
ওপরের সমস্ত কোম্পানির সার্ভিস মোটামুটি আমি নিয়েছি এবং আমার কাছে সবগুলোর সার্ভিসিং ভালো লেগেছে। তবে আপনি আপনার পছন্দমত যেকোনো কোম্পানি থেকে হোস্টিং সার্ভিস নিতে পারেন তবে অবশ্যই একটি ভাল মানের হোস্টিং নেয়ার চেষ্টা করবেন। ডোমেইন আপনি যেখান থেকেই কেনেন না কেন হোস্টিং আপনাকে অবশ্যই একটি ভালো কোম্পানি থেকে নিতে হবে এছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিবে যেমন মাঝেমধ্যেই দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটের সার্ভার ডাউন হয়ে আছে যার কারণে ওয়েবসাইট ওপেন হচ্ছে না বা লোডিং স্পিড অনেক কমে গিয়েছে যার কারণে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর আসলেও তারা বেশিক্ষণ না থেকেই বের হয়ে চলে যাবে যার কারণে আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্ডস রেট বেড়ে যাবে যেটি গুগল র্যাংকিং এর জন্য একটি নেগেটিব বিষয়।
আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url