মেসি কতবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে?

মেসি কতবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে?

মেসি কতবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে?

লিওনেল মেসি তার ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে মোট ৪ বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন এবং তার মধ্যে সবুগুলাই বার্সেলোনার হয়ে খেলে। তিনি ২০০৬ সালে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতেন বার্সেলোনার হয়ে। এরপর ক্রমান্বয়ে ২০০৯, ২০১১ এবং ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতেন।

চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০০৬ (আর্সেনাল বনাম বার্সেলোনা)

২০০৬ সালে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আর্সেনালকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতে বার্সেলোনা, তবে এই ফাইনাল ম্যাচে ইনজুরির কারণে মেসি মাঠে নামতে পারেনি তবে বার্সেলোনার হয়ে দুর্দান্ত একটি সিজন পার করেছিলেন তিনি। বার্সেলোনাকে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে তার অবদান নেহাত কম নয়। ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ফুটবল ফ্যানরা একটি তুমুল লড়াই দেখতে পায় আর্সেনাল আর বার্সেলোনার মধ্যে তবে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি মেসির বার্সেলোনা ই হাসে।

চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০০৯ ( ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)

মেসি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতেন 2009 সালে। এই ম্যাচে বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ ছিল রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইতালির রোমে অবস্থিত এই হাই ভোল্টেজ ফাইনাল ম্যাচটিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতে বার্সেলোনা। এই ম্যাচে মেসির একজন অপ্রতিরোধ্য খেলোয়াড় ছিলেন, তিনি একটি গোল করেন এবং পুরো ম্যাচের আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেন। মেসি সহ দলের অন্যান্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে তৎকালীন মেসির বার্সেলোনা জিতে নেয় ২০০৯ সালের ইউসিএল শিরোপা এবং মেসি জিতে নেন তার দ্বিতীয় চ্যম্পিয়নস লিগ শিরোপা। 

চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০১১ ( বার্সেলোনা বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)

চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০০৯ এর মত ২০১১ সালেও সেবারের বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যাদেরকে তারা ২০০৯ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছিল। ২০১১ মৌসুমেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কে কাঁদিয়ে ইউ সি এল শিরোপা ঘরে তোলে মেসির বার্সেলোনা। ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ফাইনাল ম্যাচের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে নেয় বার্সেলোনা। এই ম্যাচটিতে মেসি আবারো একটি গোল করেন এবং ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় অথবা ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন।

চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০১৫ (জুভেন্টাস বনাম বার্সেলোনা )

২০১১ সালের পর মেসি তার চতুর্থ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতেন ২০১৫ সালে। এবারে মেসির ক্লাব বার্সেলোনার ফাইনালের প্রতিপক্ষ ছিল জুভেন্টাস। সেই ২০১১ সালের ইতিহাস আবারো পুনরাবৃত্তি করে বার্সেলোনা, ফাইনালে জুভেন্টাস কে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরাদের মুকুট পড়ে বার্সেলোনা। এই ম্যাচে মেসি কোন গোল না পেলেও পরোক্ষভাবে তার টিমের আক্রমণ ভাগ চাঙ্গা রাখতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছিলেন যা থেকে বার্সেলোনা গোল পায় এবং জুভেন্টাসকে হারিয়ে ফাইনালে জয়লাভ করে।

শেষ কথা 

চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০০৯ এবং ২০১১ সালের ফাইনাল ম্যাচ দুটিতে মেসি ছিলেন একেবারেই অপ্রতিরোধ্য। হেডে গোল করার দিক দিয়ে মেসির একটু দুর্বলতা ছিল বটে তবে এ নিয়ে সমালোচনা কারীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেন ২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষের ম্যাচটিতে। তিনি এই ম্যাচে হেডের মাধ্যমে চমৎকার একটি গোল করেছিলেন এবং ম্যাচের সেরা পারফরমার নির্বাচিত হয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আবার ২০১১ সালের ফাইনালে বার্সেলোনা তাদের 'টিকি-টাকা' স্টাইলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ফাইনাল ম্যাচে ধরাশায়ী করেছিল সেই ম্যাচে মেসি মাঝমাঠ থেকে একটি দুর্দান্ত গোল করেন এবং পুরো ম্যাচ জুড়ে বিপক্ষ দলের ডিফেন্ডার দেরকে চরম পরীক্ষার মুখে ফেলেছিলেন।

নিঃসন্দেহে বার্সেলোনার সাথে মেসির পথ চলাটা তার ক্যারিয়ারের সবচাইতে সুসময় হিসেবে বিবেচিত হবে আর সেই সুসময়ের প্রতীক এবং তার ফুটবল ক্যারিয়ারের অর্জন হিসেবে এই চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা ভক্তদের মনে আজীবন জায়গা করে নেবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url