টবে জারবেরা চাষ করতে চান? মেনে চলুন এই নির্দেশনা গুলি
টবে জারবেরা চাষ
জারবেরা মূলত আফ্রিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের ফুল হলেও ল্যাটিন আমেরিকা এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতেও এর দেখা পাওয়া যায়।বাংলাদেশের কাছে জারবেরা একটি বিদেশি ফুল,বাংলাদেশের সাথে এর পরিচয় কে বা কারা করিয়েছিলো তা ও অজানা।
বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বহির্বিশ্বের যেসব দেশগুলিতে জারবেরার প্রচলন আছে সেসব দেশে জারবেরার বেশ বড় বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে।পাশাপাশি সৌখিন মানুষজন শখের বশেও নিজেদের বাগানে,বেলকনিতে,ছাদে,বাড়ির আঙিনায় জারবেরা গাছ লাগিয়ে থাকে।
ফুলের বাজারে চাহিদার দিক দিয়ে হোক বা রমণীদের শখের দিক দিয়ে হোক জারবেরা মোটামুটি প্রথমসারীর ফুল।জারবেরা কাটা অবস্থায় ফুলদানিতে ৭-৮ দিন,বিশেষ যত্নে ১২-১৫ দিন পর্যন্তও নিজের শোভা বিলিয়ে থাকে বলে এর ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে।ইদানিং অনুষ্ঠান বাড়িতে সাজসজ্জার কাজেও জারবেরার বহুল ব্যবহার লক্ষনীয়।
নারীদের সাজের অনুষঙ্গ হিসেবেও জারবেরার জুড়ি নেই,শাড়ির সঙ্গে এলোচুল বা খোঁপায় একটা জারবেরা যেন এক আলাদাই মাত্রা যোগ করে।
এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবে না এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল।
জারবেরা একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ এবং বীরুৎশ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।এটি ডেইজি পরিবারের সদস্য।জারবেরা গাছ দেখতে মাটির সাথে ঝোপালো বা গুচ্ছাকারের হয়ে থাকে।এর প্রতিটা কাণ্ডের অগ্রভাগে ফুল ফোটে।
সঠিক পরিচর্যা পেলে জীবদ্দশায় একটি গাছ বছরে ৮০টি পর্যন্তও ফুল দিতে সক্ষম।একবার রোপণ করলে একেকটি গাছ ৩-৪ চার বছর অনায়াসে বাঁচতে পারে।
সাধারণত সবধরনের জলবায়ুতেই জারবেরা টিকে থাকতে সক্ষম তবে সরাসরি সূর্যের আলো পায় এমন জায়গায় এর বিস্তার এবং ফুল আরো বেশি হয়ে থাকে।
জারবেরা লাগানোর সময়
জারবেরা ফুল সারাবছরই ফোটে তবে এপ্রিল-মে মাসে সবচেয়ে বেশি ফুল ফুটে থাকে।জারবেরার প্রায় ৪০ টি প্রজাতি রয়েছে।বাংলাদেশে যেকোনো নার্সারিতেই জারবেরার চারা সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়।বাংলাদেশে সাধারণত লাল,সাদা,হলুদ,কমলা,গোলাপি,রাণীগোলাপি রঙের জারবেরার প্রচলন রয়েছে।
উৎকৃষ্ট সময়ে ফুল পেতে হলে শীতের (অক্টোবর-নভেম্বর) শুরুতে এর গাছ রোপণ করতে হয়।জারবেরা রোপণে ভালো ফলাফল পেতে হলে মিডিয়া/মাটি তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একভাগ মাটি,একভাগ বালি ও একভাগ জৈবসার দিয়ে মাটি তৈরি করে নিতে হবে।এক্ষেত্রে দো-আঁশ মাটি ব্যবহার করা উত্তম।বেলে দো-আঁশ মাটিও নেওয়া যেতে পারে।
উৎকৃষ্ট সময়ে ফুল পেতে হলে শীতের (অক্টোবর-নভেম্বর) শুরুতে এর গাছ রোপণ করতে হয়।জারবেরা রোপণে ভালো ফলাফল পেতে হলে মিডিয়া/মাটি তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একভাগ মাটি,একভাগ বালি ও একভাগ জৈবসার দিয়ে মাটি তৈরি করে নিতে হবে।এক্ষেত্রে দো-আঁশ মাটি ব্যবহার করা উত্তম।বেলে দো-আঁশ মাটিও নেওয়া যেতে পারে।
জারবেরা গাছ টবে লাগানোর ক্ষেত্রে সঠিক পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে।বৃষ্টির পানিতে এই গাছের কোনো ক্ষতি হয় না তবে অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হয়ে গেলে গাছের গোড়া পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।পানি দেওয়ার ক্ষেত্রেও এটা বিবেচনা করতে হবে,অতিরিক্ত পানি গাছের মূলে পচন ধরায়।টবের মাটি যাতে বেশি শুকিয়ে খটখটে হয়ে না যায় সেটা খেয়াল রাখাও আবশ্যক।
গাছ যাতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।গরমকালে সারাদিন টানা রোদ পায় এমন জায়গায় রাখা যাবে না,সকাল বিকাল হালকা রোদ পায় এমন জায়গায় রাখতে হবে।তবে শীতের মিষ্টি রোদে রাখা যেতেই পারে।শীতকালে বেশি পানি দেওয়ারও প্রয়োজন নেই,কেবলমাত্র মাটি শুকিয়ে গেলেই পানি দিতে হবে।তবে গরমে সকাল বিকাল মাটির প্রয়োজনীয়তা বুঝে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে মাটি ভালোমতো ভিজিয়ে দিতে হবে।
জারবেরা রোপণের জন্য চারা নির্বাচনের সময় নিরোগ চারা নির্বাচন করে সঠিক মাটিতে চারাটা রোপণ করে সঠিক নিয়মে পরিচর্যা করলেই গাছকে অনেকাংশে রোগবালাই থেকে দূরে রাখা যায়।
টবের মাটির প্রস্তুতের সময় অল্প পরিমাণ ফাঙ্গিসাইড মিশিয়ে দিলে মাটিকে জীবাণুমুক্ত রাখা যায়।গাছ কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে পাতা যেন সুস্থ সবল থাকে।কোকড়ানো পাতা ,পাতায় কালো দাগ,পাতায় ছত্রাক আক্রান্ত এসব চারা কেনা যাবে না,এগুলো সবই গাছের রোগের লক্ষ্মণ।
জারবেরা রোপণের জন্য চারা নির্বাচনের সময় নিরোগ চারা নির্বাচন করে সঠিক মাটিতে চারাটা রোপণ করে সঠিক নিয়মে পরিচর্যা করলেই গাছকে অনেকাংশে রোগবালাই থেকে দূরে রাখা যায়।
টবের মাটির প্রস্তুতের সময় অল্প পরিমাণ ফাঙ্গিসাইড মিশিয়ে দিলে মাটিকে জীবাণুমুক্ত রাখা যায়।গাছ কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে পাতা যেন সুস্থ সবল থাকে।কোকড়ানো পাতা ,পাতায় কালো দাগ,পাতায় ছত্রাক আক্রান্ত এসব চারা কেনা যাবে না,এগুলো সবই গাছের রোগের লক্ষ্মণ।
গাছ কেনার সময় ফুল থাকলে ফুলটা কাণ্ড সহ কেটে তবেই গাছ রোপণ করা উচিত।গাছ রোপণের একমাস পর থেকে গাছে কিছু তরল সার দেওয়া যেতে পারে তবে কোনোপ্রকার রাসায়নিক সারের প্রয়োজন নেই।তরল সারের ক্ষেত্রে সরিষার খৈল ভিজানো পানি ভালো কাজে আসে,সেক্ষেত্রে ১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম খৈল ৫ দিন ভিজিয়ে রেখে এরপর ওপর থেকে পানিটা তুলে তার দ্বিগুন পানির সাথে মিশিয়ে গাছে দিতে হবে।আর মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ঘরোয়া জৈবসার যেমন সবজির উচ্ছিষ্ট পচা,পাতা পচা,গোবরসার ইত্যাদি প্রয়োগ করলেই গাছ সুস্থ সবল থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তো একবার চেষ্টা করে দেখুনতো এত সুন্দর ফুলটাকে নিজের হাতে রোপণ করে নিজেকে একটা জীবন্ত ফুলদানি উপহার দিতে পারেন কিনা!
শুভকামনা রইল।
Happy Gardening......
আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url